প্রকাশিত: ৩০/০৮/২০১৮ ১১:০০ এএম
দেশে ফেরার দাবিতে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট- কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে তাড়াহুড়ো করে বানানো শিবির থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ ভাসানচরে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। কিন্তু কমপক্ষে ৮৭ শতাংশ শরণার্থীই এই নিরাপদ শিবিরে যেতে আগ্রহী নন। একটি জরিপের ফলে এই তথ্য জানা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে তুরস্কের গণমাধ্যম আনাদলু এজেন্সি।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কক্সবাজার শাখা এই জরিপ চালিয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষাধিক শরণার্থীর আশ্রয়স্থল কক্সবাজার জেলা। এর মধ্যে সাড়ে ৭ লক্ষাধিক শরণার্থী গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলা সেনা অভিযানের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জরিপটিকে উদ্ধৃত করে আনাদলু জানিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এই দূরবর্তী দ্বীপে ভবিষ্যত ত্রাণ এবং ঔষধ সরবরাহ নিয়ে শঙ্কিত। এছাড়াও আত্মীয়স্বজন থেকে আলাদা হওয়া সহ মোট ১০টি কারণে তারা যেতে অনাগ্রহী।

বাংলাদেশের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয় এর শরণার্থী দপ্তরের প্রধান মোহাম্মদ হাবিবুল কবির চৌধুরী আনাদলু এজেন্সিকে বলেন, ‘এই বিষয়ে সম্পৃক্ত সকল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করবে সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সদস্য এবং অধিকার গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাদের ভাসানচরে সত্যিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়ে যাওয়া হবে।’ তিনি বর্তমান শিবিরগুলো সম্পর্কে বলেন, ‘স্থানান্তর ততক্ষণ হবে না যতক্ষণ না উখিয়া এবং টেকনাফের শিবিরগুলোর চাইতে ভাসানচরে উন্নত অবস্থা নিশ্চিত না হবে।’

এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ বড় রকমের পরিবেশ সংকটে পড়েছে। চৌধুরী জানান রোহিঙ্গারা পাহাড় কেটে ফেলেছে, বন উজাড় করে দিয়েছে এবং স্থানীয় মানুষ অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে জর্জারিত হয়ে পড়েছে।

প্রায় একই কথা বলেছেন বাংলাদেশ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্সন কমিশনের কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সকল সমস্য এবং মানবাধিকারের বিষয় বিবেচনা করেই সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’ আনাদলু এজেন্সি

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...